যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেছেন, “আমরা সম্প্রতির বন্ধনে বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।” ২৪-এর আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিলো একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা, এবং সবাইকে একত্রিত হয়ে এই দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে হবে।
তিনি এসব কথা বলেন সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায়। এ সময় তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতির বন্ধন যত শক্ত হবে, রাষ্ট্রের ভিত্তি তত মজবুত হবে, এবং আমাদের আন্দোলন ও সংগ্রাম সফল হবে।”
উপাচার্য ড. মজিদ বলেন, “যবিপ্রবি ছোট আয়তনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও, এটি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশ সেরা, এবং একসাথে কাজ করে আমরা এটি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
এছাড়া, উপাচার্য শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের বুদ্ধি ও বিবেক কাজে লাগাতে হবে, যাতে কোনো উস্কানিতে অস্থিরতা তৈরি না হয় এবং আমাদের সম্প্রতির বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়।”
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবি পূজা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। বক্তব্য দেন যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেন, প্রধান চিকিৎসক ডা. দীপক কুমার মন্ডল এবং ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিট্যাশন বিভাগের শিক্ষার্থী জীবন রায় আকাশ।
এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. মজনুজ্জামান, ড. মো. আব্দুর রউফ সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দিরে পূজা অর্চনা ও হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯:৩০টা থেকে শুরু হওয়া পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এদিকে, একইদিনে যবিপ্রবির ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি অনুষদেও সরস্বতী পূজা উদ্যাপন করা হয়, যেখানে বাণী অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।