Friday, December 5, 2025

গার্মেন্টসে উৎপাদন বন্ধের মধ্যেও রফতানি বৃদ্ধি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হওয়ার খবরে উদ্বেগ থাকলেও, সরকারের দাবি, দেশের সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি কিছু কারখানা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও রফতানি পরিমাণে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। এক্সপোর্ট সেপ্টেম্বরের বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ১৬ বা ১৮ শতাংশ, নভেম্বরে প্রায় ২২ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে ১৮ শতাংশের মতো বেড়েছে।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “বেশিরভাগই ফ্যাক্টরি যেগুলো ঝামেলা হচ্ছে, তাদের মালিকরা পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে গিয়ে তাদের পুরো বার্ডেন আমাদের ওপরে দিয়ে গেছেন। পুরো ব্যাংকগুলো থেকে চুরি করে যা যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে গেছেন। শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে তারা মজা দেখছেন অনেক।”

তিনি উল্লেখ করেন, “একসময় বাংলাদেশে চার হাজার ফ্যাক্টরি ছিল, এসব ফ্যাক্টরি মিলে ২০ বিলিয়ন রফতানি করতো। কারণ, তাদের রফতানি ছিল ছোট ছোট। এখন একেকটা ফ্যাক্টরি বিশাল, বড় জায়ান্ট হয়ে যাচ্ছে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ রফতানি করতো এক বিলিয়ন ডলার, এখন হামিম গ্রুপ একাই এক বিলিয়ন ডলারের রফতানি করে।”

প্রেস সচিবের মতে, কিছু কারখানা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো বড় বড় কারখানাগুলোর উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি। তিনি আরও বলেন, “আমরা এক্সপোর্টের ফিগারের ব্যাপারে এক বিন্দু কোনও ম্যানুপুলেট করছি না। শেখ হাসিনার আমলে বছরের পর বছর ম্যানুপুলেশন হয়েছে। ভাঙচুর করছে কারা? দুই- তিনটা ফ্যাক্টরি মিলে ভাঙচুর হচ্ছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক রফতানিতে এদের কন্ট্রিবিউশন একদমই কিছু না।”

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর