বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি অকৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক সেমিনারে এই তথ্য উঠে এসেছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাওয়া দেশের খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। অনেকে চাষযোগ্য জমিতে ঘরবাড়ি, ইটভাটা নির্মাণ করছেন, যা খাদ্য চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্রপস উইংয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পরিচালক মো. শওকত ওসমান বলেন, “নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দুই কোটি কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে এবং আটটি নির্দিষ্ট ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের হর্টিকালচার গবেষণা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের মাটির জৈব প্রকৃতি বা উর্বরতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশে উৎপাদন পর্যায়ে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অপারেশন ও ল্যাবরেটরি বিভাগের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, “কৃষকদের যথাযথ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ থাকা অপরিহার্য। রেস্টুরেন্ট কর্মী ও মালিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে হবে।”