নড়াইলে সরিষা চাষে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। জেলার কৃষকরা রিলে পদ্ধতির মাধ্যমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং একই সাথে জেলার কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
রিলে পদ্ধতি হলো রোপা আমন ধান কাটার ১০-১৫ দিন পূর্বে পাকা ধানের জমিতে সরিষার বীজ ছিটিয়ে সরিষার চাষ শুরু করা। এই পদ্ধতিতে ধান কাটার পর ওই জমিতে সরিষার বীজ গজিয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায় এবং সরিষার পরিচর্যা শুরু হয়। এতে করে একই জমিতে দুই ফসলের পরিবর্তে তিন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
নড়াইলের তিনটি উপজেলায় এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে সরিষা চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার হেক্টর বেশি।
একই জমিতে দুই ফসলের পরিবর্তে তিন ফসল উৎপাদনের ফলে কৃষকরা অধিক আয় করতে পারছেন। রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষে কম খরচ হয়। এই পদ্ধতিতে কৃষকদের কম পরিশ্রম করতে হয়। সরকারিভাবে সরিষা চাষে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎসাহিত করছে।
জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। ভূমি ক্ষয় রোধ করে এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষের মাধ্যমে নড়াইল জেলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব। এছাড়াও, সরিষার তেল দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নড়াইলে রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষের মাধ্যমে কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগ দেশের কৃষি খাতে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করেছে।







