ইতিহাসের অন্যতম প্রেরণাদায়ী নারী হিসেবে পরিচিত আসিয়া বিনতে মুজাহিম। প্রাচীন মিশরের ফেরাউনের স্ত্রী হলেও তিনি এক আল্লাহ বিশ্বাসী মহীয়সী নারী ছিলেন। তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করলেও আসিয়া সত্য ধর্মের পথে অবিচল ছিলেন।
ফেরাউনের অত্যাচার সত্ত্বেও আসিয়া নিজের ইমান ধরে রাখেন। ফেরাউন তাঁকে হত্যার আদেশ দিলেও তিনি অবিচল থেকে ইমানের পথে চলতে থাকেন। কোরআনে বর্ণিত, আসিয়া আল্লাহর কাছে জান্নাতে একটি ঘর চেয়েছিলেন।
কোরআনে আসিয়াকে নুহ (আ.) এর অবিশ্বাসী স্ত্রীর বিপরীতে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও দুজনেই নবীদের স্ত্রী ছিলেন, তবে আসিয়া ইমানের পথে অবিচল থাকায় জান্নাতের হকদার হয়েছিলেন। অন্যদিকে, নুহ (আ.) এর স্ত্রী কুফরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
আসিয়ার জীবন আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, ক্ষমতা, ধন-সম্পদ কিংবা পরিবারের প্রভাব ইমানকে দুর্বল করতে পারে না। আসিয়ার মতো আমাদেরও সত্যের পথে অবিচল থাকতে হবে।
আসিয়া বিনতে মুজাহিমের জীবন থেকে আমরা কি শিখতে পারি:
- ইমানের শক্তি: কোনো পরিস্থিতিতে ইমানকে ধরে রাখা।
- সত্যের পথে অবিচল থাকা: সত্যের পথে চলতে হলে কষ্ট সহ্য করতে হবে।
- আল্লাহর প্রতি ভরসা: কঠিন সময়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।
আসিয়ার জীবন আমাদের জন্য একটি আদর্শ। তাঁর মতো আমরাও ইমানদার হতে পারি এবং জান্নাতের হকদার হতে পারি।