শ্যামল দত্ত, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ খেজুরগুড়ের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে যশোরের চৌগাছা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী গুড়মেলা সম্পন্ন হয়েছে। “স্বাদে সেরা, গন্ধে ভরা—খেজুর গুড়ে মনোহরা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় এ মেলার সমাপ্তি ঘটে।
এর আগে, দুপুরে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি শেলী। তিনি বলেন, “খেজুর গাছিদের অনুপ্রেরণায় খেজুরের গুড় এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এ অঞ্চলের খেজুরের রস ও গুড়ের সুনাম আগে থেকেই রয়েছে। তাই বেশি করে খেজুর গাছ রোপণ এবং গুড় পাটালি উৎপাদন বাড়াতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক রেজাউল হক পিপিএম, যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিক প্রফেসর ড. এম শওকত আলী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম ইদ্রিস সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা গোলাম মোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুজ্জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাস্টার কামাল আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা আওলিয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম প্রমুখ।
গুড়মেলার সমাপনীতে খাঁটি গুড় উৎপাদন ও গাছ কাটার দক্ষতার ভিত্তিতে তিনজন শ্রেষ্ঠ গাছিকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম স্থান অধিকার করায় স্বরুপদাহ ইউনিয়নের সাঞ্চাডাঙা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে নগদ ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় পাতিবিলার হায়াতপুরের আব্দুল গাজীকে ৭ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করায় সুখপুকুরিয়ার মিজানুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৬







