যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক শাহাবুদ্দিনের (৩৫) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়ানো নানা গুজবের অবসান হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা কিতাব আলীর ছেলে শাহাবুদ্দিন চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে বাবার কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন থাকা শাহাবুদ্দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যান। দেশে ফিরে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। তবে গত ২০-২৫ দিন ধরে তার মানসিক অবস্থার আবারও অবনতি ঘটে।
মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে কিছু পক্ষ থেকে পিটিয়ে হত্যার গুজব ছড়ানো হয়। তবে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তিনি বলেন, ” তারা শুনতে পেয়েছিলেন শাহাবুদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, শাহাবুদ্দিন চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পথে বাবার কোলেই মারা যান। কোনো হামলার কিংবা হত্যার ঘটনা ঘটেনি।”
শাহাবুদ্দিনের বাবা কিতাব আলী জানান, যশোরে একজন চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার জন্য রওনা হওয়ার সময় তার ছেলে হঠাৎই মারা যায়। কোনো হামলা বা নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ায় শাহাবুদ্দিন সম্প্রতি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিলেন। তবে তার আগেও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন থাকলেও পুলিশ ও পরিবার নিশ্চিত করেছে যে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।
কিন্তু একটি চক্র ঘটনাটি হত্যা বলে প্রচার করেছিল, যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল।