শেষ ওভারে রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান। বল করতে এলেন বরিশালের পার্ট টাইম বোলার কাইল মায়ার্স। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য ২৬ রান তোলা অসম্ভবের কাছাকাছি। তবে নুরুল হাসান সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন।
শেষ ওভারের প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকান রংপুরের অধিনায়ক। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। অবিশ্বাস্য এই ইনিংসে মাত্র ৭ বলে ৩২ রান করে রংপুরকে ৩ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় উপহার দেন নুরুল। এই জয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল রংপুর রাইডার্স।
ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় শেষ ওভারে। এর আগে বরিশাল প্রায় জয়ের সুবাস পাচ্ছিল। শেষ ৩ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৪২ রান। এমন সমীকরণে বরিশালের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি মাত্র ৩ রান দিয়ে ইফতিখার আহমেদকে আউট করেন। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায় রংপুরের জন্য।
কিন্তু ক্রিজে আসা নুরুল হাসান নিজের ঠান্ডা মাথা এবং দুর্দান্ত স্ট্রাইকিং দিয়ে বরিশালের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। কাইল মায়ার্সের ওভারকে একেবারে তছনছ করে দেন রংপুরের অধিনায়ক।
শেষ ওভারে নুরুলের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে বরিশালের বোলিং আক্রমণ ব্যর্থ হয়। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ইনিংসকে ‘ম্যাজিক মোমেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করছেন। নুরুলের এমন ইনিংস রংপুরকে টুর্নামেন্টে আত্মবিশ্বাসের নতুন মাত্রা এনে দিল।
শেষ ওভারে ২৬ রান প্রয়োজন হলে নুরুল হাসানের ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে রংপুর রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়লাভ করে। ম্যাচটি ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।