নড়াইল বিএডিসির চার লাখ ২০ হাজার টাকার ২০ হাজার কেজি ডিএপি সার কালোবাজারে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পাচারের সময় যশোরে উদ্ধার এবং ট্রাকের চালকসহ দুইজন আটকের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর ডিবি পুলিশের এসআই বিপ্লব সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলো, যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বুইকারা এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে ট্রাক চালক মামুন ফকির এবং বুইকারা জগর মোড়ের কামাল হাওলাদারের ছেলে হাসিব হাওলাদার ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে গোপন সূত্রে জানতে পারেন, নড়াইল থেকে এক ট্রাক সরকারি সার চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবৈধ ভাবে। সংবাদ পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে যশোরের পালবাড়ির মোড়ে ওৎ পেতে থাকে। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওই ট্রাকটি (যশোর-ট-১১-৪১৫৭) জব্দ করেন। সে সময় ট্রাক চালক মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় নড়াইলের সার ডিলার অশোক কুন্ডুর ম্যানেজার জয়দেব পাল সার আত্মসাৎ করে মেহেদী নামে একজনের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গার দামড়হুদা উপজেলার মেসার্স নাঈম ট্রেডিং এর মালিকের কাছে ওই সার পাঠাচ্ছিলেন বলে জানান। পরে ট্রাক তল্লাশি করে ৪শ’ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করা হয়। সেই সাথে মেসার্স এমএ ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড শিপিং এবং মেসার্স তাওহীদ এন্টারপ্রাইজের ট্রান্সপোর্টের চালান কপি জব্দ করা হয়। পরে তিনি জানতে পারেন নড়াইলের অশোক কুন্ডর ম্যানেজার জয়দেব পাল ও মেহেদী নামে অপর একজন পরস্পর যোগসাজসে নড়াইল বিএডিসির সার উঠিয়ে তা আত্মসাৎ করে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।