এছাড়াও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হবে।সংগঠনের নারী নেত্রীরা বাসনা মল্লিকের বাড়ি এবং মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে জাতীয় মহিলা পরিষদের আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি বলেন, “এটা কেবলমাত্র একজন নারী হিসেবে নয়, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তাকে হত্যা করা মানে একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত। যতক্ষণ না এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান নারীনেত্রীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এই ঘটনার দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক বিচার নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনার সাহস না পায়।
গত ২৪ ডিসেম্বর, পাওনা টাকা নিতে দৌলতপুর গ্রামের মুক্তার মোল্যার বাড়িতে গেলে বাসনা মল্লিককে ফারুক মোল্যা, রজিবুল মোল্যা, চঞ্চল মোল্যা, শফিকুল ও কিবরিয়া পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে। তারা ঘটনাটি ভিডিও করে এবং ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করে। বাসনা মল্লিক প্রতিবাদ করলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়।২৭ ডিসেম্বর দুপুরে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।বাসনা মল্লিক মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন এবং পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী।এ ঘটনায় বাসনা মল্লিকের ছেলে রিংকু মল্লিক বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।উল্লেখযোগ্য
এই যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় মহিলা পরিষদ ছাড়াও আইন ও সালিশ কেন্দ্র, উই ক্যান, একশন এইড, কর্মজীবী নারী, ব্র্যাকসহ মোট ৬৬টি সংগঠন অংশ নেয়।
৬৬টি সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে বাসনা মল্লিকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৬







