আজ বুধবার নতুন শিক্ষাবর্ষের যাত্রা শুরু হলো। তবে এ বছর শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যবই হাতে পায়নি, যা গত ১৫ বছরে প্রথমবার ঘটল। এই ঘাটতি পূরণে সরকার অনলাইনে পাঠ্যবই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ সকালে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা এখন থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে বইয়ের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে পারবে।
নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি। তবে আজকের দিন পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে বিতরণের জন্য মাত্র ৩ কোটি ৯৪ লাখ বই পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মোট ৪৪১টি বই পরিমার্জিত হয়ে এবার শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর অপেক্ষায়।
প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখ। কিন্তু ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ায় সব বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রথম দিনেই সব বই হাতে পায়নি।
২০১০ সাল থেকে, করোনাকাল ছাড়া, প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন বই উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ হয়ে আসছিল। কিন্তু এবারের বই ঘাটতি সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ টেনেছে।
পাঠ্যবইয়ের ঘাটতির এই সমস্যা নতুন শিক্ষাবর্ষে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এনসিটিবির মতে, প্রায় ৪০ কোটির বেশি বই ছাপানোর কার্যক্রম এখনো চলমান। এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের অনেক বইয়ের বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও পরিবর্তন করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক সহজলভ্য করতে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।







