যশোরের চৌগাছায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিতা-পুত্র বিএনপির চার নেতাকর্মীকে জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আহত আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে। আহত সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা আহতের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাদবিলা গ্রামে হত্যা চেষ্টায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চারজনকে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ জনকে আসামি করে হামলায় আহত আবুল হোসেন মামলাটি করেন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন। আটকরা হলেন কাদবিলা গ্রামের সুশান্ত রায় মৈত্রের ছেলে অপূর্ব রায় মৈত্র, মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা ও মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মকবুল হোসেন। বুধবার আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতদের স্বজন শাহ আলম বলেন, ধারাল অস্ত্রের কোপে প্রত্যেকের শরীরে ক্ষত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ পায়েল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। অন্য আসামিদের আটকে পুলিশ তৎপর আছে।
বিএনপির চার নেতাকর্মী সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহতের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের লোমহর্ষক, পৈশাচিক বর্বরতা ও কাপুরুচিত ঘটনায় আমি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন’। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাদবিলা গ্রামের চিহিৃত সন্ত্রাসীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে বিএনপির চার নেতাকর্মী আবুল হোসেন (৫২), তার তিন ছেলে মফিজুর রহমান (৩২) হাফিজুর রহমান (৩৫) ও আজিজুর রহমানকে (৩০) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জথম করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানান স্থানীয়রা।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১০







