বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের ত্রয়োদশ ম্যাচে রোববার মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৭ রানে জিতেছে ঢাকা। এর মাধ্যমে প্রথম দেখায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের প্রতিধোধ নিল মুশফিকুর রহিমের দল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটির সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান। জবাবে ১৩৮ রান পর্যন্ত যেতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগে ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও মোহাম্মদ মিঠুন দুজনের সঙ্গেই ৪৮ রানের জুটি গড়েন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে জয় ২৬ ও মিঠুন ২১ রান করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দলটি।ঢাকার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন মুক্তার আলী। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও রবিউল ইসলাম রবি।এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ঢাকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন নাঈম শেখ ও সাব্বির রহমান। দুজনের কেউই সফলতার মুখ দেখেননি। ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখেছেন তানজিদ হাসান তামিমও। এ তিনজন করেন যথাক্রমে ১২, ৭ ও ০ রান।
মাত্র ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে আবারো অল্পে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় ঢাকা শিবিরে। এমতাবস্থায় দলের ত্রাতা হয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৮৬ রান।৩৮ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার ৫০ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। অন্য প্রান্তে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন আকবর আলী।চট্টগ্রামের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক







