Friday, December 5, 2025

বসুন্দিয়া-বাঘারপাড়ায় সবুজের ফাঁকে ফাঁকে উকি মারছে হলুদ সরিষা ফুল

বিশেষ প্রতিনিধি:যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার মাঠে মাঠে ছেয়ে গেছে সবুজের সমারাহ, সরিষার ক্ষেত গুলোতে উকি মারছে ফাঁকে ফাঁকে হলুদ ফুল। এবছর গাছ পাতা ভাল দেখে ফলন ভাল হওয়ার আশা করছে চাষিরা। চলতি রবি মৌসুমের আগে বুষ্টিপাত হয়ে যাওয়ায় সরিষা বপনে কোন অসুবিধা হয়নি, তারপর শীত এসে যাওয়ার ফলে দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে সরিষা গাছ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু সবুজ আর সবুজ মাঝে মাঝে উকি মারছে দু-একটি হলুদ ফুল। পথ চারিদের নজর কাড়ছে এ অপরুপ সৌর্ন্দায্য সেই সাথে মন ভরে উঠছে ক্ষেত দেখে কৃষক-কৃষানীর। আবহমান গ্রাম বাংলার শিশু, কিশোর-কিশোরি, তরুন-তরুনী সহ নব-বধু স্বামী স্ত্রী ছেলে মেয়েদের নিয়ে ইতি-মধ্যে জমির পাশে বসে দাড়িয়ে নানা সাজে ছবি তুলতে প্রিয়জনদের কাছে মোবাইলে পাঠিয়ে দিতে ভুর করছে না। সরিষার ফুল ফুটতে না ফুটতে মৌমাছির দল মধু আহরনের কাজে ছুটছে। সেই সাথে ফুলের সুগন্ধি ছড়াচ্ছে বাতাসে যার জন্য চাষির মনে হাসি-খুশি বিরাজ করছে। এলাকা ঘুরে সরোজমিনে দেখা গেছে বসুন্দিয়া,গাইদগাছি,ঘুনি,পদ্মবিলা,সহবসুন্দিয়া,আলাদীপুর,বারভাগ,বাসুয়াড়ী,বাগডাঙ্গা,বাররা,ভিটাবল্যা,জামদিয়া,আদমপুর,তেঘরী,সেখহাটি,আফরা গ্রামের মাঠে মাঠে এখন সবুজে ছেয়ে গেছে বাংলার মৌসুমী প্রাকৃতিক দৃশ্য। কথা হয় বসুন্দিয়ার আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা,মোঃ আবুল মোল্যা,মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্যা,মোঃ শামীম আহম্মদ,তেঘরী গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম,মোঃ গোলাম রসুল মোল্যা,মোঃ রাজু আহম্মদ, আলী আহম্মদ মোল্যা,মোঃ ইকবাল হোসেন,মোঃ ছাইফুল ইসলাম, আপরা গ্রামের মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ হাযদার আলী,মামুন খান, বারবাগ গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ হানিফ মোল্যা সহ আরো অনেকে এ প্রতিবেদককে জানান, চলতি বছর আমন ধান কাটার পর পর সরিষা আবাদের উপযুক্ত সময় এসে যায় যার জন্য সষিার আবাদ অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। ধান চাসের পর এটা একটি বাড়তি লাব জনক ফসল,খরচের তুলনায় ভাল লাভের অংশ এসে যায় চাষির ঘরে। এর কারনে কৃষকরা সরিষার উপর ঝুকে পড়ে প্রতি বছ।চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে তেমন বৃষ্টি বাদলা নেই একটি দুটি বার সেচ দেয়ার প্রযোজন হতে পারে। তবে গাছ পাতা ভালই দেখা যাচ্ছে যা ফলে আশা করা যায় আশানুরুপ ফলন হবে সরিষার। তারপরও সরিষার বেশ চাহিদা ও বাজার মূল্য ভাল রয়েছে,এ রকম আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে পোকা মাকড়ের আক্রমন কম থাকবে এবং ফল পরিপক্ষ হবে এমনটাই আশা চাষি মহলের। অনেকে বলেন উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তাদের তেমন খো যায় না,সার কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে রোগ বালাই সম্পর্কে তাদের ব্যাবস্থানুযায়ী প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। কথা হয় বসুন্দিয়া এলাকার সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু রবিন কুমার এর সাথে,তিনি জানান কৃষকরা যে অভিযোগটি করেছেন তা ভুল ধারনা, আমাদের কাছে কোন কৃষক তার ফসলের জন্য পরামর্শ সম্পকেৃ জানতে চায় তা আমরা যথাসাধ্য পরামর্শ দিয়ে থাকি।এ এলাকা ঘুরে আমি দেখেছি চলতি রবি মৌসুমে সরিষার গাছ পাতায় ভাল দেখা যাচ্ছে সেই সুবাদে ভাল ফলনের আশা করা যায়।কথা হয় বাঘারপাড়া উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু কল্লোল কুমার হালদারের সাথে তিনি বলেণ,গত বছরের তুলণায় অনেক বেশী সরিষার আবাদ হয়েছে এ এলাকায়।এখানকার কৃষকদের সব সময় ভাল ফলনের জন্য কি করনীয় তা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।সার কীটনাশক ও বালাই নাশক পরিমান মত প্রয়োগের নির্দেশনা দেয়া হয়।এলাকার চষিরা ধারনা করছে আবহাওয়া এ রকম অনুকুলে থাকলে বা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আশানুরুপ সরিষার ফলন অনেক বেশী হবে।নিয়মিত ক্ষেতের পরিচর্য়া রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক স্প্রে করলে সরিষার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে এলাকার চাষিদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর