শুধু টিউশন ফি নেয়ার জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা যশোরের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানছে না। শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পূনভর্তি, গ্রন্থগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন সহ নানা ফি আদায় করছেন তারা বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, যশোর কালেক্টরেট স্কুলে সাড়ে ৭শ’ টাকা বেতন ,পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে ৬শ’ টাকা। ঝিকরগাছার বিএম হাই স্কুলের ১২০ টাকা করে ১১ মাসের বেতন ১ গাজার ৩শ’ ২০টাকা নেয়া হচ্ছে। এর সাথে নেয়া হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ২শ টাকা কারেন্ট বিল বাবদ ২৭৫ টাকা। এছাড়া যশোরের ব্যক্তি পরিচালিত ও এমপি ভুক্ত না এমন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয় গুলোতে বেতনের সাথে পরীক্ষার ফি, কারেন্ট বিল, পত্রিকার বিল, আ্যাসাইনমেন্টের টাকা সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বেতনের সাথে অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি ছাড়া কোন টাকা নিতে পারবে না। এমনকি টিফিন ফি, পুনঃভর্তি ফি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন ফি ছাড়া কোন খাত সৃষ্টি করে টাকা নিতে পারবেনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা অমান্য করে এসব টাকা আদায় করায় অভিভাবকরা পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। রেলগেট এলাকার মনিরুল ইসলাম, ঘোপ বেলতলার আরিফুল, বেজপাড়ার মানিক সহ অন্তত আরো ১০জন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান করোনার কারনে ঠিকমত কাজ কর্ম করতে পারেনি তারা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সবে মাত্র কাজ শুরু করেছেন। কোন রকম ভাবে সংসার চালানো হচ্ছে। এরই সাথে বিদ্যালয়ে সন্তানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ধার্যকৃত টাকা দিতে গিয়ে বুকে মাটি ঠেকে যাচ্ছে।
এদিকে, টিউশন ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছের আলী। তিনি বলেন আমরা শুধু টিউশন ফি নিচ্ছি। ঝিকরগাছার বিএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, এমপিও ভুক্ত স্কুল ছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত স্কুল আমাদের নিয়মে চলে। ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেকের সাংবাদিকরা জানতে চাইলেতিনি জানান, টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন টাকা না নেয়ার জন্য সকল বিদ্যালয়ে চিঠি দেয়া আছে । তারপরও যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বাইরে অন্য কোন খাতে টাকা নেয়। তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক নিবারানী পাঠক জানান বিদ্যালয় গুলোতে টিউশন ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে বলা হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি







