আশাশুনি প্রতিনিধি:“ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসন সহ বিভিন্ন দাবীতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে আশাশুনি উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। বুধবার আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে বাংলাদেশ হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের বিভিন্ন দাবী সংবলিত ব্যানার হাতে নিয়ে তারা ৬ষ্ঠ দিনের মত এ কর্মবিরতি পালন করে। এসময় তারা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা চাকরীর শুরু থেকেই অবহেলিত, বঞ্চিত ও চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। অথচ আমাদের কাজের দক্ষতায় টিকাদান কর্মসূচীতে বাংলাদেশ বিশ্বের রোলমডেল। আমরা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ভ্যাকসিন হিরোরা শুধু ১০টি টিকাদান কর্মসূচী নয় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো, পোলিও মুক্ত বাংলাদেশ, শিশুদের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ, গুটি বসন্ত মুক্ত বাংলাদেশ গড়া, করোনা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে আসছি। এ সমস্ত টেকনিক্যাল কাজ করা সত্বেও আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস প্রদান করার পরও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের আশ্বাস দেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে গত ২২ বছরে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়নি। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা প্রাণীদের টিকা দেয় তারা টেকনিক্যাল পদমর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের টিকা দিয়েও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা পাচ্ছিনা। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে মানুষের সেবায় কাজ করে এসেছি। স্যাম্পল কালেকশন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, আইসোলেশন নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকালে সারাদেশে আমাদের সহকর্মীরা অনেকে ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণও করেছেন। এসময় তারা স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১১, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ ও স্বাস্থ্য সহকারীদের-১৩তম গ্রেড প্রদান ও নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ দাবীসমূহ দ্রুত মেনে নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান। এদিকে, তাদের দাবী মানা না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন তারা। এতে করে আশাশুনি উপজেলায় কয়েক হাজার শিশুর হাম রুবেলা টিকাদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।







