মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগসহ দেশ ছাড়ার পর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জালাও পুড়াও, ভাংচুরে মণিরামপুরে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়াঁলেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টু।
বৃহস্পতিবার পৌর শহরের স্বল্প পুঁজির দোকানি বিধান অধিকারীকে নগদ অর্থ দিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিলেন। এসময় তার পাশের দোকানী গোপাল হালদার নামে আরেক ব্যবসায়ীকেও নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন।
মণিরামপুর পৌরশহরের পাবলিক লাইব্রেরী মোড়ে তারা পান, বিস্কুটসহ কোমল পানীয়, রুটি কলা বিক্রি করে। দিন শেষে এই দোকানের রোজগারেই তাদের সংসারের চলে বলে জানাযায়। পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া বিধান অধিকারী আবেগ-আপ্লুত কন্ঠে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। পরে জানতে পারেন কে বা কারা তার দোকান ভেঙ্গে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তার মাথায় হাত ওঠে। তিন কন্যা সন্তানের দুইজন মনিরামপুর সরকারী কলেজে ও অপরজন পড়ে পৌরসভা বালিকা বিদ্যালয়ে। এখন তার কি হবে ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টুর অর্থ সহায়তা পেয়ে আবেগে-আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় বিধান অধিকারী সৃষ্টিকর্তার কাছে মিন্টুর জন্য প্রাণখুলে আশির্বাদ করেন।
শুধু তাই নয় পৌরশহরের ভেনাস জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ ঘোষ, অসিত, টপিসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কতিপয় দূর্বত্তরা তাদের দোকানে হামলার চেষ্টাসহ নানা হুমকি-ধামকি দেয়। খবর পেয়ে সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই বিএনপি নেতা মিন্টু। অনেককে মারধরের হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন তিনি। ওই দিন একদল দুর্বৃত্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টনকে মারতে মারতে বাসা থেকে টেনে হিচড়ে রাস্তা নামিয়ে আনে। খবর পেয়ে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় মিন্টু। এসময় দুর্বৃত্তদের মারধরের হাত থেকে মিন্টু নিজেও রক্ষা পাননি। তিনি পূর্বে আঘাত পেয়ে ভেঙ্গে যাওয়া কোমরের হাড়ে আঘাত পেলে কয়েকদিন অসুস্থ হয়ে মণিরামপুর ও যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু পৌরশহরে নয়; উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুসহ যে কোন বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছে কিংবা হতে যাচ্ছে এমন খবরে ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে সাহস যুগিয়ে চলেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্দেশে বিপদাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি।
আর কে-১৪
