যশোরে এক মক্কেলের কাছথেকে মামলা করার কথা বলে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নানা ধরণের তালবাহানা করছিলেন সঞ্জয় সরকার নামে এক আইনজীবী। এ নিয়ে আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেয়া হলে সমিতির পক্ষথেকে শর্তদিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরেও ওই আইনজীবী শর্তভঙ্গ করে। এমনকি জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে যোগাযোগ করা হলেও সঞ্জয় সরকার যোগাযোগ করছেন না। বাধ্য হয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষথেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু। সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাকেব ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, বাঘারপাড়া উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সালেহা খাতুন নামের এক গৃহবধু আইনজীবী সঞ্জয় সরকারকে ৭০ হাজার টাকা দেন একটি দেওয়ানি মামলা করার জন্য। কিন্তু মামলা না করে সঞ্জয় ঘুরাতে থাকেন। এরমাঝে সালেহা খাতুনের স্বামীর মৃত্যু হয়। টাকা দেয়ার দেড় বছর পর গত ৫ মে বাধ্য হয়ে সালেহা ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে সমিতিতে অভিযোগ দেন। সমিতি অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই পক্ষকে ডেকে গত ৭ জুলাই বেশ কিছু সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি মিমাংশা হয়। একই সাথে ওই মামলা রেকর্ড করার সীদ্ধান্ত ও দেয়া হয়। কিন্তু সমিতির সেসব সিদ্ধান্ত মানেন না আইনজীবী সঞ্জয়। এরপর থেকে বাদী পক্ষ এমনকি আইনজীবী সমিতির সাথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।
কারণ দর্শানোর নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, আইনজীবী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এতে করে আইনপেশার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কেন তার বিরুদ্ধে গঠন তন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবেনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সমিতির আরেকটি সূত্র জানিয়েছে রোববার সাতদিন পূর্ন হবে। এদিনের মধ্যে জবাব না দিলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আইনজীবী সঞ্জয় সরকারের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৬







