Saturday, December 6, 2025

বিয়ের ১১ মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে ঘরছাড়া গৃহবধু, ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

যশোরে পরোকিয়ার জেরে স্ত্রীকে মারপিট করে ঘরছাড়া করেছেন এড়েন্দা গ্রামের আল আমিন। বিয়ের ১১ মাসের মাথায় স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘুরছেন একই এলাকার নববধু শারমিন ইসলাম প্রিয়া।

এঘটনায় প্রিয়ার বাবা কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। অভিযোগ করা হয়েছে যৌতুক হিসেবে ঢাকায় আল আমিনকে ফ্লাট কিনে না দিলে প্রিয়াকে ঘরে নিবেন না আল আমিন। যৌতুক আদায়ে আল আমিনের সহযোগি হিসেবে রয়েছেন তার মামা বিল্লাল ও নানা আবুল কালাম। বিল্লাল পুলিশ সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন প্রিয়াকে। এমনকি হয়রানীও করছেন বলে অভিযোগ করছেন প্রিয়া।

কোতোয়ালি থানায় দেয়া অভিযোগে প্রিয়ার বাবা রবিউল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ১১ মাস আগে প্রিয়ার সাথে আল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সংসারের যাবতীয় মালামাল ও আলআমিনকে চেইন,আংটিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দেয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই আল আমিন যৌতুকের জন্য চাপ দেয় আল আমিন। এক পর্যায় নগদ টাকা অন্যথায় ঢাকায় একটি ফ্লাট বাড়ি কিনে দেয়ার জন্য বলে। প্রিয়া দিতে না পারায় তাকে মারপিট করতে থাকে। বাবার বাড়ি থেকে যেভাবে হোক টাকা আনতে হবে অন্যথায় সংসার না করার হুমকিও দেয়। এরমধ্যে প্রিয়া জানতে পারে আল আমিনের সাথে অন্য এক নারীর পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। যা হাতে নাতে ধরা খায় আল আমিন। জানা জানি হলে প্রিয়া এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও আরও ভয়ানক হয়ে উঠে আল আমিন। এক পর্যায় গত ২৮ জুলাই প্রিয়াকে বেধরক মারপিট করে আল আমিন। এসময় তার সাথে যোগ হয় বিল্লাল ও আবুল কালাম। শেষ মেষ প্রিয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রিয়ার বাবা আল আমিন ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে। গত ২ অক্টোবর আল আমিন প্রিয়ার পরিবারকে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। প্রিয়ার বাবা রবিউল ও মামা শফিকুর আল আমিনদের বাড়িতে কথা বলতে যান। এসময় তাদেরকে প্রথমে অপমান করে। এরপর মারপিট করে জখম করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একই সাথে টাকা কিংবা ফ্লাট না কিনে দিলে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেন আল আমিন। বাধ্য হয়ে রবিউল কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রিয়ার দাবি, যৌতুক দাবি ও পরোকিয়ার কারণেই তার সংসার আজ শেষের পথে। আল আমিন এক ধরণের নির্যাতন চালাচ্ছেন অন্যদিকে তার মামা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সদস্য বিল্লাল পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছেন। মিথ্যা মামলা সহ নানা ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছেন। এমতাবস্তায় তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে আল আমিন ও বিল্লালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৪

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর