Saturday, December 6, 2025

ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত,বললেন কেশবপুরের এমপি আজিজ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম।একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে এ প্রস্তাব রেখেছেন বলে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কে এম আজিজ নামে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন।

কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শাহীন চাকলাদারকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আজিজুল।
আজিজুল ইসলাম ফেসবুক পোস্টে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের কষ্ট দূর করতে এই মুহূর্তে করণীয় কী?’ শিরোনামে  লেখেন, যেভাবে চলছে তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগে যাবার কথা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার কোনো সলিউশন হতে পারে না। আমি মনে করি যেসব শিক্ষার্থীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই, তাদের গ্রেফতার করাটা অযৌক্তিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় করাটা মোটেও সুখকর হবে না। বরং এই মুহূর্তে সরকারের উচিৎ হবে যেসব সাধারণ শিক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছে, সেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রের কিছু অভিভাবক, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এবং জাতীয় অধ্যাপকদের নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিস্থিতি ফেরাতে একটা সর্বজনীন ডায়লগের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমিত করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখানোই হবে, এখন সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত। একটা পক্ষ তো চাচ্ছেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকার পতন করতে। দুষ্কৃতকারীদের সেই সুযোগও নষ্ট হবে এরকম কিছু করলে।’
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে- ‘সবচেয়ে পরিতাপের বিষয়, যে দুজন লোকের ওপর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ, সেই ওবায়দুল কাদের সাহেব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখনও সেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখলাম না। অবশ্যই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেছে। দায়িত্বশীলরা শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলে দোষের কিছু দেখি না। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বও যেমন নিতে হয়, তেমনিভাবে দায়ও নিতে হয়। একটা দেশ এরকম অচলাবস্থায় থাকতে পারে না। দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য রাষ্ট্রকেই এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের ক্ষোভ প্রশমনে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের এখানে যথাযথ ভূমিকা রাখা উচিৎ। আমাদের ভিসিরা এতে ব্যর্থ হন আমি মনে করি না তাদের ওই পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আছে।’

তিনি আরও লেখেন- ‘দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষরা শান্তি চায়। আর কোনো হানাহানি দেখতে চায় না। গত ২-৩ সপ্তাহে দেশ যতটুকু পিছিয়ে গেছে আর পিছিয়ে যাবার সুযোগ নেই। সকলের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর