Friday, December 5, 2025

মণিরামপুরে সেই আলোচিত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছে প্রশাসন

শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর প্রতিনিধি: মনিরামপুরের আলোচিত ডাঙ্গামহিষদিয়া-পাড়িয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাল জালিয়াতীর করে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ^জিৎ কুমার ঘোষ প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় আনারুল ইসলামকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করেছেন। সে সংবাদ স্থানীয় দৈনিক কিছু পত্রিকায় প্রকাশ হলে প্রশাসন ও এলাকারবাসীর মধ্যে চাঞ্চ্যকর সৃষ্টি হয়। অবশেশে বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে চিঠি দিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার। স্মারক- ৩৭.০২.৪১০০.৬১.০০.০২.২০২৪-২৪৫ নং পত্রে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকলকে বুধবার স্থাগিত করে চিঠি দিয়েছেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কমিটি তৈরী করে ২৭ জুলাই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সংশ্লিষ্টরা সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে বিল্লাল হোসেনকে নিয়োগ দেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন আমলে নেন। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যার স্মারক-০৫.৪৪.৪১৬১.০০০.১২.০০৫.২৪.৬০৫(৩)। মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর বুধবার অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত বিভিন্নভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডাঙ্গামহিষদিয়া-পাড়িয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তার বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি করতে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তবে, তদন্তকারি কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের সাথে বিষয়টি খোলসা করে কিছুই বলেননি। তবে, কমিটি করার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। জাল-জালিয়াতির মূল হোতা প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, কমিটি বা নিয়োগে কোনটাই সমস্যা নেই। আমার স্কুলের সবকিছুর বিষয়ে এমপি মহোদয় ভাল জানেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ এসএম ইয়াকুব আলী জানান, আমি এই নিয়োগ বিষয় কিছু জানি না। তবে শিক্ষা অফিসার আমাকে ফোনে বলেন স্যার ডাঙ্গামহিষদিয়া-পড়িয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি নিয়োগ বোর্ড আছে, যার কাগজ পত্র সব সঠিক আছে বলে। তাদের কাগজ পত্রের সম্যসা আছে এটা আমি জানতাম না।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর