বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মিথ্যা অভিযোগের ঘটনায় আসাদ্জ্জুামানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গেলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। আসামি আসাদুজ্জামান যশোর সদরের হামিদপুর গ্রামের মৃত শহীদ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, ন্যাপ (মোজাফফর) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যশোর জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের ১৯৬২ সালের জিএস।
যশোর সদরের হামিদপুর মৌজায় বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলমের ৩৫ বিঘা বৈধ জমি যা আসামি আসাদুজ্জামান দীর্ঘ বছর দখল করে আছেন। আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তার জমি দখলে নিলে আসামি আসাদুজ্জামান নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আসাদুজ্জামান গত ৩০ জুন প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও আসামি আসাদুজ্জামান নিজেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে আসাদুজ্জামান আরও উল্লেখ করেন তার বসতবাড়ি স্কেভেটর দিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এজাহারে দাবি করেন, আসাদুজ্জামান অভিযোগের সাথে যে কপি সংযুক্ত করেছেন তাতে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সম্পর্ক নেই।
একইসাথে নুরুল ইসলামের বিয়াই মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জেলা আওয়ালী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধ শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস ও ছেলে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজাহিদের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগের কপি সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে তিনি থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আদালতে এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর আই
