ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ৮০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূলরহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে তার স্বজনরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমার (৪০)লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান।
কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। তবে অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় তিনি শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করেন। ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তারা ঘরের মধ্যে তাঁর লাশ দেখতে পান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে কারিশমার লাশ ঝুলছে। ধারণা করা হয়, টাকা ও গহনার লোভেই কে বা কারা তাকে নির্মমভাবো হত্যা করে । তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।কারিশমার ভাই শরাফত হোসেন অভিযোগ করেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হলেও পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে আমলে নিচ্ছেনা। এজন্য মামলার মোটিভ একেক সময় একেক দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কারণে কারিশমার হত্যাকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এব্যাপারে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।







