বিশেষ প্রতিনিধি:বেনাপোল ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানা জমি খাস দেখিয়ে বিত্তবানদের মধ্যে বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে। বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান ও তার দুইভাই এ অভিযোগ তুলেছেন।
আব্দুর রহমান ও তার ভাই মাসুদুর রহমান এবং মাহবুবুবর রহমান জানান, তার পিতা আলী আকবর সফি উদ্দিন ১৯৭৮ সালে বড় আঁচড়া মৌজায় ছোটআঁচড়া মাঠে গাতিপাড়া গ্রামের রবিউল ও সামাউল ইসলামের কাছ থেকে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ১৯৭৮ সালের ২৪ মে তারিখে রেজিষ্ট্রি হয়। যার খতিয়ান নং ১১০৩ আর এস নম্বর ৮৭৮, ৯৭৫, ৯৭৩। ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে মাঠ পর্চা দিলেও প্রিন্ট পর্চা তাদের দেয়া হয়নি। যে কারণে তারা প্রিন্ট পর্চা প্রাপ্তির জন্য ২০১৬ সালে জমির রেকর্ড সংশোধন মামলা করেন তারা। যার মামলা নং ৫৪/১৬। কিন্তু বেনাপোল ভুমি অফিসের তহশিলদার আবু সাঈদ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজোসে ৮জনকে ওই জমি বরাদ্দ দেয়। কোন জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলকালে ওই জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না মর্মে আইন থাকলেও তা উপেক্ষা করে আবু সাঈদ বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে ওই জমি বরাদ্দ দেয়। এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ভুমি কর্মকর্তা আবু সাঈদের নামে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নাম্বার ৩২৮। এছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি যশোর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত সংঘর্ষ এড়াতে ওই জমিতেদ ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তবু বরাদ্দপ্রাপ্তরা জমি দখলে নেবার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগকারীরা আরো বলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার গাজিপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে শের আলী, ছোট আঁচড়া গ্রামের শের আলীর মেয়ে মনোয়ারা খাতুন, একই গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে ছকিনা খাতুন, বড়আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে বাবু, নামাজগ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে নুর ইসলাম, গাতিপাড়া গ্রামের বরকতের মেয়ে আমেনা খাতুন ও ছোটআচড়া গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলীর নামে ওই জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শের আলীর তিনতলা একটি পাকা বাড়ি রয়েছে এবং অন্যান্য সকলের বাড়ি ও জমি আছে। অথচ তাদের ভূমিহীন উল্লেখ করে জমি বরাদ্দ দিয়েছেন নায়েব আবু সাঈদ।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ভুমি অফিসের কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তাদের নামে কোন জমি নেই। এটা সরকারি খাস জমি। সরকারি বিধি মালা অনুযায়ী ভুমিহীনদের মাঝে ওই জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্যক্তি মালিকানা জমি খাস দেখিয়ে বিত্তবানদের বরাদ্দ

আরো পড়ুন






