মনিরামপুর শাখা জনতা ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘোষকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোরের উপ-পরিচালক আল আমিন।
অভিযুক্ত আশিষ কুমার ঘোষ মনিরামপুরের মৃত প্রভাষ কুমার ঘোষের ছেলে। বর্তমানে তিনি জনতা ব্যাংক পিএলসি এরিয়া অফিস মৌলভীবাজারে কর্মরত রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আশিষ কুমার ঘোষ ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংক পিএলসি মনিরামপুর শাখায় অগ্রিম বিভাগে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরের বছর ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আলমগীর কবির নামে আরেক ব্যক্তি একই ব্যাংকে কর্মকর্তা (কাশ ইনচার্জ) পদে যোগদান করেন। এই দুই জনের বাড়ি মনিরামপুরে হওয়ায় তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের কাছে খুবই বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন। এই সুযোগ নিয়ে তারা গ্রাহকের জমাকৃত টাকা ব্যাংকের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে নিজেদের কাছে রেখে দিতে। কোনো গ্রাহক টাকার জন্য চেক নিয়ে এলে তারা সেই চেক নিজেদের কাছে রেখে দিয়ে টাকা দিতেন। এভাবে তারা ১৮ জন গ্রাহকের দীর্ঘদিন ধরে জমাকৃত ৬৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উদ্ঘাটিত এবং প্রমাণিত হলে তারা ৩শ’ টাকা নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে টাকা আত্মসসাতের অভিযোগ স্বীকার করেন। কিন্তু এরই মধ্যে আলমগীর কবির মারা যান। এ কারণে অপর অভিযুক্ত আশিষ কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল। এই মামলার তদন্ত শেষে গত ২৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন।
রাতদিন সংবাদ







