Saturday, December 6, 2025

চৌগাছায় পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র আশিকুর রহমানকে আজও পায়নি পরিবার

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় পাঁচ মাস আগে চাঁদপাড়া মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় আশিকুর রহমান (১৬) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র। সে উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের রংমিস্ত্রি নূর আলমের ছেলে।

এ ঘটনায় নিখোঁজের ছয়দিন পর পিতা নূর আলম বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। 

দীর্ঘদিন সন্তানকে খুজে না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন আশিকুরের মা ও বাবা। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আশিকুর রহমানের খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে ০১৭৭৭৯৮৬৮৮৭ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন পিতা নূর আলম। বুধবার প্রেসক্লাব চৌগাছায় এসে তারা জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে চাঁদপাড়া মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হন তাদের মেজো সন্তান আশিকুর। এ খবর তারা ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ফিরোজ হোসেনের মাধ্যমে ফোনে জানতে পারেন। নিখোঁজ ছাত্রের বাবা নূর আলম বলেন, এর আগে সৈয়দপুর মাদ্রাসায় ছেলেকে পড়াতেন তিনি। একদিন পৌরসভার নিরিবিলি পাড়ায় কাজ করাকালীন গুয়াতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির হোসেনের সাথে কথা হয় ছেলের ব্যাপারে। তিনি জানতে চান কোথায় ছেলেকে পড়াশোনা করায়। শোনার পর তিনি তার ভাইয়ের একটি নব-নির্মিত মাদ্রাসায় ছেলে আশিকুরকে ভর্তির জন্য অনুরোধ করেন। জাকির হোসেনের মুখে সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার কথা শুনে ছেলেকে সেখানে ভর্তি করান নূর আলম। বাবা নূর আলম আরও জানান, দীর্ঘ পাচদিনের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবার (২২ডিসেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় চলে যায় আশিকুর। তার একদিন পরেই গোসলের পানি গায়ে দেওয়া নিয়ে আরেকটি ছাত্রের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় আশিকুরের। এরপর আশিকুরকে নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একটি বিচার করেন। এর পরদিন থেকেই আশিকুর নিখোঁজ হয় বলে জানান পিতা নূর আলম। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার ছয়দিন পর চৌগাছা থানায় জিডি করা হয়। তাতেও কোনো খোঁজ না মিললে মঙ্গলবার (২৮ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানোর পর তিনি থানার ওসিকে দায়িক্ত দেন। এ ঘটনার পরদিন বুধবার নূর আলমের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেন পাতিবিলার রাজমিস্ত্রী সামাউল।

এসময় নূর আলম বাড়ি না থাকায় তার স্ত্রীকে সামাউল বলেন, “আমাকে জাকির মাষ্টার পাঠিয়েছে। আপনারা যা করছেন তাতে যদি জাকির মাষ্টারের কিছু হয় তাহলে আপনাদের সারাজীবন পস্তাতে হবে।”

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জিডির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশের সকল থানাতে নিখোঁজ ছাত্রটির ছবি পাঠানো হয়েছে। খোঁজ পেলেই তার পরিবারকে ডেকে ছাত্রটি হস্তান্তর করা হবে।

আর কে-১১

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর