মাগুরা প্রতিনিধি: আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাজী জালাল উদ্দিন।
শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষিত,সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জালালের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি। উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ ফরিদুর রহমান বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর জালাল ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।
সমাজ সেবক শাহ নেওয়াজ বলেন, কাজী জালাল উদ্দিন একজন মানবিক মানুষ। তার ভেতরে কখনো অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে। নাজমুল হোসাইন নামে সাবেক এক ছাত্রনেতা বলেন,জালাল ভাই একজন ব্যতিক্রম মানুষ। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন শ্রীপুরের উন্নয়ন।তিনি মনে করেন শ্রীপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, কাজী জালালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জিল্লুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত।পুনরায় তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।
কাজী জালাল উদ্দিন বলেন,বৈশ্বিক মহামারি (কোভিড -১৯) করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নবিত্ত ও অসহায় মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সবজি বিতরণ করেছি।হট লাইন ট্রিমের মাধ্যমে ফ্রি অক্সিজেন সেবা প্রদান করেছি।কোন বাড়িতে অগ্নিকান্ডের খবর পেলে সেখানে ছুটে যাই,সাধ্যমত সহযোগিতা করি।সব সময় চেষ্টা করেছি সুখে দুঃখে শ্রীপুর উপজেলার মানুষের পাশে থাকার। সবসময় চাই শ্রীপুর উপজেলার মানুষ ভালো থাকুক।আমি বিশ্বাস করি আগামী ৮ তারিখে তালা প্রতীকে ভোট দিয়ে শ্রীপুরবাসি আমাকে নির্বাচিত করবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬শ’ ৫২ জন। তার মধ্যে ৭৫ হাজার ১শ ৫১ জন পুরুষ ও ৭৪ হাজার ৫শ ০১ জন নারী। উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৫৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
