আর মাত্র আটদিন পরেই যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারো উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। তারপরও এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। একদিকে, করোনার ছোবল অন্যদিকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রথম সারির এক নেতাকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কারের খবরে নির্বাচনী ইমেজে ভাটা পড়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এ নেতাকে বহিষ্কারের ফলে নির্বাচনী হিসেবনিকেশ বদলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা। এ ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সকল প্রার্থীকে। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্যানেল। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির একমাত্র প্রার্থীও থেমে নেই এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্যে।তারপরও শেষ সময়ে এসে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। চলছে জমজমাট প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা কখনো একা আবার কখনো দল বেধে যাচ্ছেন ভোটারদের টেবিলে টেবিলে যাচ্ছেন। ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন লিফলেট। দোয়া চাচ্ছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীরা জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট ফোরামের মধ্যে দু’টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। এরমধ্যে ছোটকে বহিষ্কার করায় তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। যা নিয়ে ফোরামের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার রাতে সমিতির এক নাম্বার ভবনে ফোরামের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়। সভায় একটি পক্ষ হাজির হলেও আবু মোর্তজা ছোটসহ তার সমর্থিতরা সভায় হাজির হবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হস্তক্ষেপে ছোটসহ তার সমর্থিত নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভায় অংশ নেন ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতাসহ যশোরের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে কাজ করার আহ্বান জানান। তবে, ছোটর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কাক্সিক্ষত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই গেছে।নির্বাচনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই। একাট্টা হয়ে তারা নির্বাচনের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। যেটুকু সমস্যা হয়েছিল শিগগির তার সমাধান হবে বলে জানান দেন মি. সাবু।মহাজোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী জানান, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। প্যানেলসহ বিজয়ের লক্ষ্যেই তারা মাঠে নেমেছেন।নির্বাচন নিয়ে সাধারণ আইনজীবীরা বলছেন, তারা যোগ্য নেতৃত্বের হাতে সমিতির দায়িত্ব তুলে দিতে চান। এ কারণে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। শেষ সময়ে এসে পরিস্থিতি বুঝে তারা ভোট দিবেন। উল্লেখ্য, আজ দুপুর দুটোর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ২৮ নভেম্বর শনিবার সমিতির এক নম্বর ভবন মিলনায়তনে সকাল ১০ থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এবারের নির্বাচনে চারশ’৭৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিশেষ প্রতিনিধি







