যশোর প্রতিনিধি
বাঘারপাড়ায়ও বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ হামলা করেছে। এ সময় সময় গুলি বর্ষণ, বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও পৌর বিএনপি নেতার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় পুলিশ। এতে নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা জানান, কালো পতাকা মিছিলটি দলের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু করে চৌরাস্তা হয়ে পার্টি অফিসে ফেরার কথা ছিল। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু করে পাওয়ার হাউজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বিনাউস্কানিতে বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে যশোর জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লা ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক একলাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং লাঠিপেটায় জহুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সিদ্দিকী, বিএনপি নেত্রী শাহানাজ পারভিন ও জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি আরও জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আস্থায়ী কার্যালয় ত্যাগ করার পর পুলিশ কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরা ও জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এছাড়াও আমার বাড়িতে ৪০ থেকে ৫০জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত সদস্যদের হুমকি-ধাকমিও দিয়ে এসেছে।
এদিন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ূর রহমান, আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা শিকদার, দরাজহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফজুর রহমান, জামদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক দাউদ হোসেন , যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম হোসেন, উপজেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইছাসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
এবিষয় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, বিএনপির কোন কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করা হয়নি। বাঘারপাড়ায় ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি।







