যশোরে প্রতারণা মামলায় মোশারেফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে চার বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মোশারেফ হোসেন নওয়াপাড়া বাজারের গুয়াখোলার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনী। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ শালে আসামি মোশারেফ হোসেন প্রেমবাগ মৌজার এক খতিয়ানের দুই দাগে ৪৬ শতক জমির মধ্যে ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি বিক্রি ঘোষনা দেন। প্রেমবাগ গ্রামের মাস্টার সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রানা এ জমি ক্রয়ের জন্য আসামি মোশারেফ হোসেনের সাথে কথাবার্তা বলেন। ওই বছরের ২৩ জুন রানা মোশারেফ হোসেনের ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি ক্রয়ের জন্য নগদ পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে বায়না রেজিষ্ট্রি করেন। ১১ সেপ্টেম্বর মোশারেফ হোসেন আরও নয় লাখ টাকা গ্রহণ করে রানাকে আরও একটি বায়না রেজিষ্ট্রি করে দেন।
২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি মোশারেফ হোসেন ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১০ শতক জমি কবলা রেজিষ্ট্রি করে দেন। বাকি জমি রেজিষ্ট্রি করে দিবেন বলে পুনঃরায় একটি বায়না রেজিষ্ট্রি করে দেন মোশারেফ হোসেন। পরবর্তীতে মোশারেফ হোসেন বাকি জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। ২০১৮ সালের ১০ জুন মোশারেফ হোসেনকে ডেকে বাকি টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিষ্ট্রির অনুরোধ করে মাস্টার রানা। মোশারেফ হোসেন ১৫ দিনের মধ্যে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ২৯ জুন আসামি মোশারেফ হোসেনকে জমি রেজিষ্ট্রির কথা বললে তিনি অস্বীকার করে।
এ সময় তাকে দেয়া টাকা ফেরত চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এঘটনায় মামলা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে চারবছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মোশারেফ হোসেন পলাতক রয়েছে।
-রাতদিন সংবাদ







