আমি প্রধান শিক্ষক। অথচ আমাকে মামলায় জড়িয়েছেন আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা লাকি।এটা অপরাধ, তিনি আমার সাথে প্রতারণা করেছেন। বিনা অনুমতিতে তাকে সাক্ষী বানানোর প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’-বৃহস্পতিবার পত্রিকা দপ্তরে এসে লিখিতভাবে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোলাডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদ হোসেন মনা। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে শুধু এলাকাবাসীয় নন, সুদখোর লাকির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। ক্ষোভ প্রকাশ করে কেউ কেউ জানান, লাকি নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষমতার দাপট দেখান। তার ভাই একটি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত, স্বামী অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানে যথেচ্ছাচার করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯৬ সাল থেকে লাকি এ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। অর্থাৎ ২৪ বছর ধরে তিনি বাড়ির পাশের এই প্রতিষ্ঠান আকড়ে ধরে বসে আছেন। নানা ধরনের অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নেই। অভিযোগ রয়েছে, নিজ এলাকার প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্কুলে ঠিকমত আসতেননা। ২৩ বছর এ ধরনের কাজকর্ম করে গেলেও ২০১৯ সালে স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালু হওয়ার পর তিনি এখন ঠিক সকাল নয়টায় অফিসে আসা শুরু করেছেন। তবে হাজিরা দিয়ে বাইরে চলে যান লাকি। পরে স্কুল বন্ধের সময় এসে বায়োমেট্রিক দিয়ে যান। অতি প্রয়োজন ছাড়া তাকে স্কুলে দেখা যায় না। স্কুলে না থেকেও তিনি সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করেন। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। দায়ের করা মামলার আরেক সাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ বলেন, ‘আসলে বিষয়টি তেমন নয়। এটা নিজেদের বিষয়। পত্রিকাকে জড়িয়ে এ ধরনের মামলা করার আগে তাকে জানানো হয়নি’। এদিকে, এ বিষয়ে গত ১২ নভেম্বর মামলার আরেক স্বাক্ষী মহিলা মেম্বার শাহিদা বেগম গ্রামের কাগজ দপ্তরে মোবাইল করে জানান, তিনি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এমনকী আদালতেও তিনি সাক্ষী দিতে যাবেন না বলে জানান।উল্লেখ, যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গার চিহ্নিত সুদখোর স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা লাকির সুদে কারবার সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর তিনি যশোরের দৈনিক গ্রামের কাগজ ও দৈনিক যশোর পত্রিকার সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের নামে যশোর আদালতে মামলা করেন। যা নিয়ে যশোরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
রাতদিন সংবাদ







