নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়ায় আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়েছে একটি পরিবার। বসতবাড়ি ও দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে। ৭ জানুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে,উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের বারভাগ নিত্যানন্দপুর গ্রামের আকছেদ আলীর-বাড়ীতে। পরিবার সূত্রে জানাযায়, সারাদিন কর্মব্যস্ততার মধ্যদিয়ে রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে হঠাৎ আকছেদ আলীর স্ত্রী ঘরের ভিতর আগুন জ্বলছে দেখতে পায় এবং আত্ম চিৎকারে আশপাশের মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ছুটে আসেন প্রতিবেশী স্বজনরা, আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন তারা। বাচাতে পারেননি ঘরের ভিতর জিনিসপত্র। প্রত্যাক্ষদর্শীরা বলেন, বসবাসের ঘরের সাথে মুদি দোকান পাশে ছিলো বিছালির ঘর। বিছালি ঘরের পাশে বৈদ্যুতিক মিটার ছিলো, সেখান থেকেই অগ্নি সংযোগ ঘটেছে এমন ধারনা। তাছাড়া ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আকছেদ আলীর মেয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ঘরের ভিতর কাপড়ের গাইট, লেপতোশক, পোশাকাদি, খাদ্যদ্রব্য সহ সমস্ত কিছু মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে ভুষিভূত হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানান, ৪ লক্ষ টাকার উর্ধে মালামাল পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ওই রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন ছুটে আসেন ঘটনা স্থলে এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে তিনি জানিয়ে দেন। ৮ জানুয়ারি সকালে চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম তিব্বত সরোজমিনে দেখতে আসেন। আগুনে পুড়ে নিঃস্ব পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার দুপুরের পর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিথীকা রানী বিশ্বাস ও কমরেড বিপুল কান্তি বিশ্বাস আর্থিক সহযোগিতা সহ খাদ্য দ্রব্য শীতবস্ত্র পোশাকাদি নিয়ে পাশে এসে দাড়িয়ে ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড তাসলিমুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ খাদ্য দ্রব্য, শীতবস্ত্র কলম্ব, পোশাকাদি নিয়ে ছুটে আসেন আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের পাশে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড নাজিম উদ্দীন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটো, জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড পলাশ বিশ্বাস, জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড মিজানুর রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটির সদস্য কমরেড আঃ সবুর মোল্লা, কমরেড আঃ রশিদ শেখ প্রমূখ।
রাতদিন ডেস্ক/জয়-০৩







