মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ: যশোরের শার্শায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের হলুদ চাঁদরের আবরণে ছেয়ে আছে চারিদিক।মৌমাছিদের গুন গুন শব্দে এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে বিস্তীর্ন মাঠ।
মাঠে মৃদু বাতাস দুলছে সরিষার হলদে রঙের ফুল। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রকৃতির কাছে টানছে প্রকৃতি প্রেমিদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে আবাদ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।বর্তমানে চাষীরা সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে।জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হওয়াতে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আাবাদ হয়েছে। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর।
কৃষি বিভাগ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ১০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছরে আরো ৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে বারি সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা- ৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা রয়েছে।
বাগআঁচড়া পাশ্ববর্তী কুমরী গ্রামের জদ্দিস আলী বলেন, গেল বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর ৪ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।
কায়বা রুদ্রপুর গ্রামের সরিষা চাষি নাজিমুদ্দিন জনি বলেন, বরাবরই আমি মৌসুমে সরিষা চাষ করি। প্রতিবার ভাল ফলন ও ভাল দাম পেয়ে অনেক লাভবান আমি।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শার্শা উপজেলার মাটি খুবই উপযোগী। এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতিবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমতি সরিষার আবাদ হচ্ছে। আমার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে ভোজ্য তেলের বড় একটি চাহিদা এ উপজেলা থেকে মিটবে।







