সাতক্ষীরায় এক বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে প্রবেশনে পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন আদালত। তবে এই সময় তাকে পাঁচটি শর্ত পালনের আদেশ দেয়া হয়েছে।সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার মঙ্গলবার এ যুগান্তকারী আদেশ দেন।আসামি হাসান আলী সরদার সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম ফখরুল আলম ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন শামছুল বারী।আইনজীবী এটিএম ফখরুল আলম জানান, মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার রায়ে তিন কেজি গাঁজা রাখার অপরাধ প্রমাণিত হয়। আদালত আসামি হাসান আলী সরদারকে এক বছরের প্রবেশন দিয়েছেন। বাড়িতে থাকাকালীন শর্তগুলো হল: কোনো ধরনের মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবে না, খারাপ সঙ্গীর সঙ্গে মিশবে না, প্রবেশনকালীন ১০টি গাছ রোপণ করতে হবে, বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে, সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। প্রচারণার সময় কী কী উল্লেখ করতে হবে- তাও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে আবারো কারাগারে যেতে হবে বলে আদেশ দেন আদালত।আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, সাতক্ষীরার আদালতের এটি একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শর্তগুলো মানছে কি না, তা তদারকি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসারকে। তিন মাস পরপর সমাজসেবা অফিসারকে আদালতে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেয়ার আদেশও দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্কঃ







