নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গাঙ্গুলিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বৃদ্ধ মশিয়ার রহমানের নাতনী বিলকিস খাতুন (৩০) প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক সহায়তার চেক এর টাকা না পেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিলকিস খাতুন দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক মশিয়ার রহমানের নামে এসেছিল। কিন্তু চেকটি আটকে রাখায় সময়মত চিকিৎসা না পেয়ে বিলকিস খাতুন ৯ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।
রোববার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মৃত বিলকিসের নানা মশিয়ার রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিলকিস খাতুন যশোর সদরের মাহিদিয়া গ্রামের মৃত জাকিরের মেয়ে। পিতার মৃত্যুর পর ছোটবেলা থেকে বিলকিস আমার বাড়িতে বড় হয়েছে।
তিনি বলেন, দরিদ্র হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করি। গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল শাখা হতে ৫০ হাজার টাকার চেক যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে বলে এক চিঠিতে আমাকে অবগত এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চেক সংগ্রহের জন্য বলা হয়।
কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘুরাঘুরি করেও চেকটি পাননি। যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে চেকটি সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন আটকে রাখেন। এ বিষয়টি একটি টিভিতে প্রচার হলে ব্যপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এরপর একদিন গাঙ্গুলিয়া গ্রামের লিটন ও রোহিতা গ্রামের মোহর আলীর নেতৃত্বে ১০/১২ জন একদিন আমাকে অপহরণ করে যশোর নিয়ে আসে। এরপর তারা হুমকি-ধামকি ও মারধর করে তিনটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে একটি চেক দেয়। এ চেকটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চিকিৎসার সহায়তার।
তিনি বলেন, চেকটি ব্যাংকে জমা দিয়েছি। টাকা তুলতে দেরি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা। এরমধ্যে আমার নাতনী বিলবিস গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ধার দেনা করে আসামি বিলকিসকে ঢাকায় নিয়ে যাই। ৯ নভেম্বর ঢাকায় বিলকিস মারা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা টাকা সময়মতো না পাওয়ায় অর্থভাবে নাতনীর মৃত্যুর ঘটনায় এ চক্রান্তে জড়িত সকলের বিচারের দাবি করেছেন তিনি।







