বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর নভেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে তবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। দেশের উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে বেশি (৩৫.১%) বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) ১৩ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগ এবং ১৬ অক্টোবর সারা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে।
২০ অক্টোবর সকাল ৬টায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ২১ অক্টোবর একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২২ অক্টোবর সকাল ৬টায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয় এবং পশ্চিম-মধ্য ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব
ঘূর্ণিঝড় হামুন ২৪ অক্টোবর সকাল ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং ২৪ অক্টোবর দুপুর ১২টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এটি রাত ১টায় কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে এবং দুর্বল হয়ে সাতকানিয়ায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।







