বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বিশ্বকাপ ম্যাচে বিরল এক ঘটনার সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। নির্ধারিত সময়ে বোলারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ছিলেন না লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুই দফায় হেলমেট পাল্টাতে গিয়ে তিনি তিন মিনিটেরও বেশি সময় বিলম্ব করেন।
পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আবেদনের ভিত্তিতে ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করেন অনফিল্ড আম্পায়ার। কোনো বল খেলার আগেই সাজঘরে ফিরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হন ম্যাথিউস।
এই বিরল আউটের ঘটনায় ক্রিকেট সমর্থকরা এবং সাবেক তারকাদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই আউটকে ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করছেন।
সাবেক তারকাদের সমালোচনা
সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, “এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। এটা ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী।” আরেক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজা বলেছেন, “এ ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই আরও একটু বেশি আবেগ ও রাগ নিয়ে খেলবে।”
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ওসমান খাজা বলেছেন, “ম্যাথিউস ক্রিজে চলে এসেছিল এরপর তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ ভেঙে গিয়েছে। এটা কিভাবে টাইমড আউট? টাইমড আউট হতো যদি সে ক্রিজে না যেত কিন্তু এটা হাস্যকর। কোনো পার্থক্য নেই একজন ব্যাটার ক্রিজে গিয়ে তৈরি হতে তিন মিনিট সময় নিয়েছে কি না এর সঙ্গে।”
সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মার্ক ওয়াহ বলেছেন, “ভুলে যান স্পিরিট অব দ্য গেমের কথা, নিয়মের কথাও ভুলে যান, একজন ভালো মনের ক্রিকেটার কীভাবে এমন একটি আউটের জন্য আবেদন করতে পারে। কীভাবে একটি আউট এভাবে নিতে পারে।”
লঙ্কান ব্যাটার আসালাঙ্কার বক্তব্য
ইনিংস শেষে লঙ্কান ব্যাটার আসালাঙ্কা বলেছেন, “আমার দৃষ্টিতে ম্যাথিউসের আউট ক্রিকেট স্পিরিটের বাইরে। ব্যক্তিগতভাবে সেঞ্চুরি পাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এজন্য আমি খুব খুশি। ধনাঞ্জয়া (ডি সিলভা) ডানহাতি ব্যাটার, আর আমি বাঁ-হাতি। তাই তার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে ভালো লাগে। আমাদের লক্ষ্য ছিল তিনশ রান করা, তবে এখন যা হয়েছে তাও যথেষ্ট।”
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ম্যাথিউসের টাইমড আউট ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই আউটকে ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করছেন। তবে নিয়মের দিক থেকে এই আউট ছিল বৈধ।
