Monday, May 6, 2024

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ

- Advertisement -

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ফলাফলের জন্য। লড়াই করেছেন জাকের আলী। তার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে তিন রানে।
২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২। প্রথম বলে রিশাদ হোসেনকে আউট করেন দাসুন শানাকা। পরের বলে ওয়াইড। দ্বিতীয় বলে তাসকিন আহমেদ নেন এক রান। চার বলে দরকার ১০। স্ট্রাইকে জাকের আলি। দলকে অবিশ্বাস্যভাবে লড়াইয়ে ফেরানো এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। লংঅফে প্রায় বাউন্ডারির কাছাকাছি তুলে দেন ক্যাচ। ৩৪ বলে চার বাউন্ডারি আর ছয় ছক্কায় জাকেরের ৬৮ রানের ইনিংস থামে।

বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল অর্ধেক ইনিংস যেতেই। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝোড়ো ফিফটি আর তারপর জাতীয় দলে অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অসাধ্য সাধনের খুব কাছে চলে এসেছিল বাংলাদেশ।

তারও আগে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্রস খেলতে চেয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন লিটন দাস শুণ্য রানে।

সৌম্য সরকারও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ১১ বলে ১২ করে বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে আকাশে বল তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি।

বিপিএলের দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয় শুরু করেছিলেন প্রথম বলেই ছক্কা দিয়ে। তবে পাঁচ বলে আট করেই ফিরতে হয় তাকে। ৩০ রানে তিনটি উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ মারমুখী হলেও শান্ত এগোচ্ছিলেন ধীরগতিতে।
বল হাতে নিয়েই ২৮ বলে তাদের ৩৮ রানের জুটিটি ভাঙেন মাথিসা পাথিরানা। পাথিরানার গতিতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল শান্তর। অবশেষে তিনি ক্যাচই তুলে দেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ২২ বলে আসে ২০ রান।

লঙ্কান বোলিং আক্রমণের সামনে যেখানে ধুঁকেছেন তরুণ ব্যাটাররা, সেখানে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে দু’টি চার ও চারটি ছক্কায় হাঁকান হাফসেঞ্চুরি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১ বলে ৫৪ করে থিকশানার শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। জোরেই হাঁকিয়েছিলেন, বাউন্ডারিতে হয়ে যান ক্যাচ।
এর আগে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান এই তিন পেসারই তাদের চার ওভারের কোটায় দিলেন ৪০ রানের ওপর। সবমিলিয়ে তাদের ১২ ওভারে ১২৯ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে লঙ্কানদের পুঁজি দাঁড়ায় তিন উইকেটে ২০৬ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম।
টাইগার পেসারকে কভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো। তিনি করেন দুই বলে চার রান। ওয়ান ডাউনে নেমে চড়াও হয়ে খেলতে চেয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। ১৪ বলে একটি চার আর দু’টি ছক্কায় ১৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে দুই উইকেটে ৪৫ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।

৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমার ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারি দল।
১৪ ওভারে বল হাতে নিয়েই সুযোগ তৈরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু উইকেটরক্ষক লিটন দাস আকাশে উঠে যাওয়া বলটি দৌড়ে গিয়ে গ্লাভসবন্দী করলেও ভারসাম্য রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে জীবন পান কুশল মেন্ডিস।
তবে মেন্ডিসকে আর ভয়ংকর হতে দেননি রিশাদ হোসেন। পরের ওভারেই তাকে লংঅফ বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ বানান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ছয়টি চার আর তিন ছক্কায় মেন্ডিস করেন ৫৯।
এরপর উইকেটে এসেই চড়াও হন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ২১ বলে ছয় ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৮ বলে ৬১ করেন সাদিরা।
শরিফুল চার ওভারে ৪৭ রানে একটি, তাসকিন ৪০ রানে নেন একটি উইকেট এবং মোস্তাফিজ চর ওভারে ৪২ রান দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা। চার ওভারে ৩২ রানে একটি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।

-অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত