যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর মণিরামপুর জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অধিকাংশই পালিয়ে গেছে এলাকা থেকে। অন্যদিকে পুলিশ আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন পাগলা বাবুল ও আদম আলী। তারা দুজনেই পৌর কাউন্সিলার ও মণিরামপুরের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর অনুসারী। অভিযুক্ত আদম পৌরসভার দূর্গাপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও পাগলা বাবুল কামালপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। তাদের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে তারা এক সময় খান টিপু সুলতানের সাথে রাজনীতি করতেন। সেসময় একবার তারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিলো। পরবর্তিতে টিপু সুলতানের মৃত্যুর পর তারা কোনঠাসা হয়ে পরে। সম্প্রতি তারা ইয়াকুব আলীর দলে যোগদান করেন। নির্বাচনের সময় তারা ইয়াকুব আলীর পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছেন। ইয়াকুব আলী জেতার পর তারা বেপোরোয়া হয়ে উঠে। এদিকে, পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর মণিরামপুর জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মণিরামপুরবাসী জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, চিকিৎসাধীন রয়েছেন হামলার শিকার মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বক্কর। তারা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কতজন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে উদ্র্বোতণ কর্তৃপক্ষ মাঠে রয়েছে। বিস্তারিত তারা জানাবেন। উল্লেখ্য, সোমবার রাত নয়টার পর মণিরামপুর পৌরসভার সামনে ঐ এলাকার পাগলা বাবুল ও আদম আলীর নেতৃত্বে শতাধিক লোক মোশারফ নামের এক শাড়ী ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালায়। এসময় মোশারফকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে মণিরামপুর থানার ওসির নির্দেশে বক্কর ঘটনাস্থলে যান। তাকে দেখেই বাবুলসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে তার উপর হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইযাকুব আলীর কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য,নির্বাচনের আগে বর্তমান এমপি ইয়াকুব আলী যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের বদলির জন্য নানা দৌড়ঝাপ শুরু করেস। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনও জানান। কিন্তু কোনো সুফল পাননি তিনি ।
রিকি খান