যশোরে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি। তবে, কর্মসূচী পালনে পুলিশ ব্যাপক বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে দলের সাত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তারা শহরে কালো পতাকা মিছিল করে।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপির কালোপতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এমন কর্মকান্ড চালায়। বিশেষ করে লাল দিঘিরপাড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সকল প্রবেশ পথ ব্যারিকেট দেয় তারা। ফলে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লালদিঘির সকল রাস্তায় পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসব বাধা উপেক্ষা করেই বিএনপি নেতাবৃন্দ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মোড় থেকে জেল রোড পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন।
এদিকে নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এমন আচরণের তাৎক্ষণিক দলের পক্ষ থেকে শহরের মুজিব সড়কে প্রতিবাদ মিছিল করেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, সদর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মনিহার এলাকায় একই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে পুনরায় লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠির আঘাতে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, জেলা যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন লিটু, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল, চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, কচুয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাহিদ হাসান, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম ও আশিকুর রহমানকে অহেতুক আটক করেছে পুলিশ।
যদিও পুলিশের দাবি, তারা বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করা হয়নি। যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।