গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে শনিবার রাত ৮টায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী (২৮) কারামুক্ত হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কটি মামলায় জামিন পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ওয়াজ মাহফিলে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত। ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা, তেজগাঁও থানা, মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়। সব কটি মামলার জামিনের কাগজ যাচাই-বাছাই শেষে শনিবার রাত আটটায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
রফিকুলের খালাতো ভাই আমিনুল হাসান বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারাগার থেকে নিয়ে যেতে এসেছি।’
আদালতে রফিকুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, ‘হাইকোর্ট শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে চারটি মামলায় জামিন দিয়েছেন। ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী এবং জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে—এমন বক্তব্য দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন তিনি। পরে আদালত তাকে জামিন দেন। সব মামলায় তিনি জামিন পেলেন। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা রইল না।’
গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।
রাজধানীর মতিঝিল থানায় রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, তিনি ইউটিউব ও ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানী বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক মামলা হয়।