সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। কদিন পরেই হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সাতক্ষীরা মন্ডপে মন্ডপে দুর্গা উৎসবের প্রস্তুতিতে ব্যাস্ততা; মন্ডপে তিন স্তর নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনি। খড় মাটির কাজ শেষ হয়েছে প্রতিমার গায়ে লেগেছে রঙ। উৎসবকে ঘিরে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলার সাতটি উপজেলায় পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলে ৬০৫টি মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার মা আসবেন ঘটকে , যাবেনও ঘটকে। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে মর্তে মায়ের আগমণী বার্তা পৌঁছে যাবে। ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপি শারদীয় দুর্গোৎসবের। পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি, শ্যামনগরের আটুলিয়া, আশাশুনির মহেশ্বরকাটিসহ বিভিন্ন মন্ডপে বড় প্রতিমা তৈরি হচ্ছে।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, আগামি ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে মা দুর্গার মর্তে আগমন ঘটবে। ২০ অক্টোবর মহাষ্ঠষী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপি শারদীয়া দুর্গাপুজার সমাপ্তি ঘটবে। দুর্গাপুজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দেরীতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কয়েকটি মন্ডপের দর্শণার্থীদের প্রতিমা দর্শণে কিছুটা সমস্যা হবে বলে জানান সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মীর আসাদুজ্জামান জানান, তিন স্তর বিশিষ্ঠ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। নাশকতা এড়াতে মনিটরিং করা হবে বলে জানান জেলার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, পূজায় যাতে কোন অঘটন না ঘটে সেজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে ফেইসবুকে যে কোন স্টাটাস দেখে বিচলিত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন তিনি।
আবহাওয়া ভাল থাকলে এবার দুর্গাপুজা ভালভাবে কাটবে বলে মনে করেন সাতক্ষীরার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।