মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে উপজেলার উত্তর শৈলমারী হোগলবুনিয়া খেয়া ঘাট এলাকার ত্রিপল এস ব্রিকস নামের অবৈধ ইট ভাটায় এই অভিযান করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, জনৈক সুমন নামের খুলনার এক ব্যক্তি বে-আইনিভাবে নদীর সরকারি জায়গা দখল করে ভেঁড়িবাদ দিয়ে ইট ভাটা স্থাপন করে ইট প্রস্তুত করছে এবং ব্যবহার করছে জ্বালানি কাঠ যা ইট প্রস্তুত আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী অবৈধ।
ইটভাটা লাইসেন্স,পরিবেশের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানো লাইসেন্স অনুমোদন ব্যতীত মাটির ব্যবহার ইটভাটা প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন , নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ ( সংশোধন -২০১৯) এর সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘনের অপরাধে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আছিফুর রহমানের নেতৃত্বে এবং জেলা কার্যালয় সমন্বয়ে অবৈধ এই ইট ভাটা উচ্ছেদ করা হয়। বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। এ সময় ব্রিকসের কোন মালিক বা কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি। মোঠফোনে মালিক সুমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কল ধরেননি তিনি। অভিযান শেষে ইট ভাটায় প্রস্তুত প্রায় ৫০ হাজার পাকা ইট, ১ হাজার মন জ্বালানি কাঠ ও ইট প্রস্তুতের সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান রায়ের জিম্মায় রাখা হয়। খুলনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ বলেন, ইট ভাটা আইন ২০১৯ এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, অনুমতি ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত বে-আইনি। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করি। এখানে বে-আইনি ভাবে তিনি ভাটা স্থাপন করেছে এবং ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করছে যা দৃশ্যমান ও আইন বিরোধী। জব্দকৃত মালামাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। ইট তৈরিতে অবৈধভাবে মাটি ও কাঠের ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।