Wednesday, May 8, 2024

মোড়েলগঞ্জে দিন-দুপুরে বৃদ্ধ ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

- Advertisement -

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আঃ হাকিম জোমাদ্দার (৬৫) নামে এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, মারপিটে নারীসহ আহত ১০। এদের মধ্যে গুরুতর জখমী ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার সকালে গুয়াতলা গ্রামে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আঃ হাকিম জোমাদ্দারের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী মোজাম্মেল হাওলাদারের জমি নিয়ে ৬ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মোজাম্মেল হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে শহিদ হাওলাদার, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, কবির হাওলাদারসহ ২০/৩০ জন সঙ্গবদ্ধ দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে আঃ হামিক জোমাদ্দারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চলিয়ে তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলাপাতাড়ী কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। এ সময় তার স্ত্রী জামিলা বেগম (৫০) স্বামীকে বাঁচাতে এলে তাকেও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
পরে হামলাকারীরা পাশেই নিহতের মামার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে মামা গুয়াতলা জামে মসজিদের ইমাম আলম হাওলাদার (৭০) কে কুপিয়ে, পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এ খবর ছড়িয়ে পরলে হামিক জোমাদ্দারের ভাই লতিফ জোমাদ্দার (৫০) ছোট ভাই আঃ রশিদ জোমাদ্দার (৪২) আলম হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম (৫৫) নিহতের বাড়িতে যাবার পথিমধ্যে হামলাকারীরা তাদেরকেও পিটিয়ে, কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।

এ ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা হাকিম জোমাদ্দারসহ গুরুতর জখমীদেরকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক হাকিম জোমাদ্দারকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকী ৫ জন জখমীদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়।
নিহতের মেঝ ভাইয়ের ছেলে আল আমিন জোমাদ্দোর বলেন, তার চাচা হামিক জোমাদ্দারের সাথে মোজাম্মেল হাওলাদারের ৬ একর ১৯ শতক জমি নিয়ে বিরোধ আছে, আদালতে মামলাও রয়েছে। সকালে মোজাম্মেল হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলেরা ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তার চাচাকে হত্যা করে এবং ৮/১০ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। প্রশাসনের কাছে তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্ত মূলক বিচারেরও দাবী জানান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎস্যক মেডিকেল অফিসার, ডা. শাহরিয়া ফাত্তাহ বলেন, গুয়াতলা গ্রামের ৬ জন জখমীকে ১০টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। এদের মধ্যে হাকিম জোমাদ্দার নিহত অবস্থায় ছিলো, তার মাথায় ও পায়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। বাকী জখমীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, নিশানবাড়ীয়ার গুয়াতলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্তের বিরোধে ঘের ব্যবসায়ী আঃ হাকিম জোমাদ্দারের নিহতের খবর শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে নিহতের মরদেহ সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরনের প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত