Sunday, April 28, 2024

নড়াইল সদর হাসপাতালে সেবিকার সাথে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতি

সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর হাসপাতালে কর্মরত সেবিকার সাথে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা উল্লেখে নড়াইল সদর থানায় ২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মারামারির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রিমা বেগম নামে একজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে। মামলার বাদী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি পারভীন বলেন, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে নড়াইলের সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ইমরান শেখের স্ত্রী সুমাইয়া (১৯) রেফার্ড হয়ে গাইনী ওয়ার্ডে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং আমি তাকে সেবা প্রদান করে আমাদের লেবার রুমের একটি নষ্ট সরকারি ফ্যান আমাদের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি দিয়ে ঠিক করাচ্ছিলাম।
এ সময় রোগীর স্বামী ইমরান শেখ লেবার রুমে প্রবেশ করে আমার সরকারি কাজে বাধা দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারপিট করে। ঘটনার সময় তার মা রিমা বেগমও তার সাথে যোগ দিয়ে আমাকে মারপিট করেন। এ সময় নড়াইল সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ মোঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রোগীর স্বজনেরা তার ওপরও হামলা করে।
রোগী সুমাইয়ার চাচা মহিষখোলা এলাকার কামরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাতিজি সুমাইয়া চিকিৎসা নিতে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্র্তি হন। আজ সকালে সুমাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগীর স্বামী ইমরান নার্সকে খোজ করেন। কর্তব্যরত নার্স বিউটি পারভিনকে ফ্যান মেরামতের কাজে ব্যস্ত দেখে তাকে রোগীর কাছে আসার অনুরোধ করে। এ সময় নার্স বিউটি পারভিনের সাথে ইমরানের কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালের লোকেরা মিলে আমার স্বজনদেরকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে রোগীর শাশুড়ি রিমা বেগমের কান ছিড়ে ফেলে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, রোগীর স্বজনরা বিনা কারনে আজকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর হামলা করেছেন। রোগী সুমাইয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সুমাইয়াকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। রোগীর স্বজন রিমা আহত হওয়ার বিষয়ে ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যে ধস্তাধস্তির জন্য তার কানের লতিতে টান লেগেছে।
তাকেও হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, নড়াইল সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি পারভীন মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে বাদী হয়ে রিমা বেগম ও তার ছেলে ইমরান শেখ নামীয় দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১০)।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের সালাম শেখের স্ত্রী রিমা বেগম(৪২)কে আটক করা হয়েছে।
আর কে-১৮
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত