কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের কর্মীদের মারপীটে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন।
তার লিখিত অভিযোগ জানায় কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের কর্মী ওসমান গনী, মফিজুর রহমান মফেজ, আশুতোষ হালদার ও জয় খান ১১ ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন । এসময়একই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তার কর্মী আজিজুর রহমান, কামরুজ্জামান মিন্টু, পিন্টু, আতিয়ার রহমান,সাইফুল ইসলাম,রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম,আব্দুল্লাহ নুর আল আহসান বাচ্চু,নাসির হোসেন, নাজমূল হোসেন, ইয়াসিন খান, শাওন, সুমন, নজরুলসহ একদল ব্যক্তি তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উক্ত কর্মীদের আহত করে। হামলাকারীরা তাঁদের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক মনির হোসেন পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ১২ ডিসেম্বর দু‘ পক্ষকে ডেকে সাবধান করেন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
স্বতন্ত্রী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পরদিন থেকে তিনি তার কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচার প্রচারনা করে চলেছেন। একইভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল কাদের। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নৌকার বিপক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তিনি সেটা মেনে নিতে পারেননি ।তিনি আরো বলেন নৌকার প্রার্থী বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে হামলা সহ হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে। তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করেন। এদিকে নৌকা প্রার্থী আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান ১১ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের জন্য বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে। হামলা ও হুমকি দেযার ক্ষেত্রে আমি ও আমার কোনো কর্মী জড়িত নয়।কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম করতে বলা হয়েছে। আইনশৃংখলা অবনতির ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কেশবপুরে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারপিটের অভিযোগ
- Advertisement -
- Advertisement -