Monday, April 29, 2024

মেসির মন খারাপের ম্যাচে আর্জেন্টাইনের গোলে জিতল পিএসজি

- Advertisement -

পিএসজির মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে অভিষেক বলে কথা। সেটা রাঙানোর সেরা চেষ্টাটাই করেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু গোলের দেখা আর পাননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মন খারাপ করে ম্যাচের মাঝে ছাড়তে হলো মাঠ। তবে শেষে মাউরো ইকার্দির গোলে লিওঁর বিপক্ষে জয়টা ঠিকই তুলে নিল পিএসজি। ঘরের মাঠে অভিষেকে মেসিকে ঠিক ফরোয়ার্ড লাইনে নামাননি পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। আক্রমণভাগে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে তো ছিলেনই, এদিন শুরুর একাদশে ছিলেন আনহেল ডি মারিয়াও। তাদের সঙ্গে মেসির বোঝাপড়াটাও এদিন ছিল চোখে পড়ার মতো। ষষ্ঠ মিনিটে মেসি বক্সে ঢুকে শট করে বসেছিলেন, তবে জেসন ডেনায়ারেরের কল্যাণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় সফরকারী লিওঁ। ৩২ মিনিটে নেইমারের ব্যাকহিল থেকে আরও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী, এবার তার আর গোলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান লিওঁ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ। এদিন দুর্ভাগ্যও যেন পথ আগলে দাঁড়ায় মেসির। ৩০ গজ দূর থেকে তার ফ্রি কিকটা ঠেকানোর আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক, কিন্তু শেষমেশ সেটা গিয়ে প্রতিহত হলো ক্রসবারে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসির পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপে, কিন্তু তার লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে গোল আর পাওয়া হয়নি পিএসজির। প্রথমার্ধে তো বটেই, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলছিল প্যারিসিয়ানরা। তবে ৫৪ মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল হজম করে দলটি। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে তোকো একাম্বির পাস থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান লুকাস পাকেতা। সেই এক গোল রক্ষার জন্য লিওঁ এরপর আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে যেন। তবে ম্যাচে ফিরতে পিএসজি খুব একটা সময় নেয়নি। প্রতিপক্ষ বক্সে নেইমারকে ফাউল করে বসেন মালো গুস্তো, পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৭৪ মিনিটে নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি, কিন্তু তার সে চেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এরপর। তখনই মেসিকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কোচ পচেত্তিনো। মাঠ ছাড়ার আগে কোচের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে মেসি বুঝিয়ে দেন, সিদ্ধান্তটা পছন্দ হয়নি তার। কেনই বা হবে? চোটাঘাত ছাড়া মেসিকে বদলি হিসেবে উঠে যেতে হচ্ছে, এমন দৃশ্যও যে হরহামেশা দেখা যায় না! আর্জেন্টিনা হোক কিংবা বার্সেলোনা, ৯০ মিনিট খেলে তবেই তো মাঠ ছাড়তেন মেসি! ৮২ মিনিটে ডি মারিয়াকেও তুলে নেন পচেত্তিনো। তার জায়গায় মাঠে নামান মাউরো ইকার্দিকে। কোচের আস্থার প্রতিদান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দেন ভালোভাবেই। ৯৪ মিনিটে এমবাপের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।  পিএসজি এই জয়ের ফলে টানা জয়ের ধারাটাকে উন্নীত করল ছয় ম্যাচে। ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত