অভয়নগর প্রতিনিধিঃ অভয়নগর উপজেলায় নিহত সেই বোমা তৈরির কারিগরের বাড়ি থেকে ৩০টি বোমা উদ্ধার করেছে যশোরের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৬) সদস্যরা। এসময় বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত দেড় কেজি গান পাউডার উদ্ধার করেন র্যাবের অভিযানিক এই দল। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত র্যাব যশোর-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহাফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালান। এসময় বোমা তৈরির কারিগর শপ্পার বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করেন। পরে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করে। অভিযান শেষে বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোস্তাক আহম্মেদ। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বড় ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য শক্তিশালী এই ৩০টি গ্রেনেড বোমা তৈরি করেছিলো বোমা কারিগর শফিকুল ইসলাম শপ্পা। র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিজ ঘরে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণে বোমা কারিগর শপ্পা আহত হয়ে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে বিষয়টির ওপর র্যাবের একটি গোয়েন্দা টিম তদন্ত শুরু করে। র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের দেয়া তথ্য মতে র্যাব যশোর-৬ এর অভিযানিক দলের সদস্যরা শুক্রবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে ও তার আশপাশে অভিযান শুরু করে। পরে তারা ওই ডোবা থেকে ৩০টি গ্রেনেড বোমা ও দেড় কেজি গান পাউডার উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযান শেষে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঁচজন বোমা ডিসপোজাল বিশেষজ্ঞ এনে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট কার্পেটিং বাজারস্থ এলাকায় ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে বোমা কারিগর শফিকুল ইসলাম শপ্পা (৩৫) বোমা তৈরিকালে তা বিস্ফোরিত হয়ে মারাত্মকভাবে জখম হন। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। এঘটনায় অভয়নগর থানা পুলিশের মামলায় শপ্পার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সুইটি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।