Tuesday, April 30, 2024

ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের বাঁচ্চা পেটে নিয়ে আদালতে কিশোরী, ধর্ষকের কবুল!

- Advertisement -

নাম মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল। অথচ আকাশ দাস বলে সম্পর্ক গড়েন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কিশোরীর সাথে। সম্পর্ক করে ক্ষ্যান্ত হয়নি সে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর গর্ভে সন্তান আসে। এরপর কথিত ওই আকাশ দাসকে আর খুঁজে পায়নি হতভাগা কিশোরী। দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর আবারো তাদের কথা হয়। একপর্যায়ে খুলনা নিউ মার্কেট এলাকায় দেখা করতে রাজি হয় শিমুল। পরে সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে সোনাডাঙ্গা পুলিশ ওই দু’জনকে কেশবপুর থানায় হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার কেশবপুর থানা পুলিশ ওই কিশোরীসহ শিমুলকে আদালতে সোপর্দ করে। এদিন দু’জনেরই জবানবন্দি গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক। আটক শিমুল ওই কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, শিমুল কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে। শিমুল আদালতকে জানায়, বড়েঙ্গা গ্রামের রাফি সাহেবের ট্রাকের চালক সে। ভগলেতলা গ্রামের তুষারের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সে কারণে তুষারের মাধ্যমে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঙ্গরদহ গ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে সে। এরপর নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে আকাশ দাস নাম ধারণ করে মেয়েটির সাথে দেখা করতে চায়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাচারই পার্কে (এসবি গার্ডেনে) দু’জনে দেখা করতে যায়। ওইদিনই তারা শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর থেকে একাধিকবার তারা শারীরিকভাবে মিলিত হয়।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই কিশোরী জানায়, সে হিন্দু সম্প্রদায়ের। আকাশ দাসও হিন্দু বলেই তার সাথে কথা বলেছে। একইসাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত