লোভে পাপ পাপে মৃত্যু তা নিজেই প্রমান করলেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার কাজল রেখা। আলিফ লায়লার পুরনো প্রদীপ দাও নতুন প্রদীপ নাও এর মত ধোঁকায় পড়লেন তিনি। গত শনিবার সকাল ১১ টায় মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে খাজুরা বাস স্টান্ডে নামেন তিনি।দড়াটানার যাবার উদ্দেশ্যে একটি রিকসা ঠিক করে উঠে পরেন তিনি। রিক্সাটি জেল রোড টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে পৌঁছাতেই হঠাৎ রিক্সা চালক দাঁড়িয়ে যায়। এরপর নিচ থেকে একটা সোনার বার উঠিয়ে নেন।পরে তাকে দেখতে দেন আর বলেন আপা দেখেনতো কি এটা। এমন সময় পাশ থেকে আরেকজন এসে বলে এটাতো সোনার বার। পুলকিত হয়ে ওঠে কাজল রেখা । এ যেন কোটি টাকার সম্পদ পেয়ে গেছেন তিনি।ইতিমধ্যে লোকালোকি শুরু। ঠিক সেসময় রিকশা আলার আবদার আপা এগুলো আপনি নিয়ে নেন আর আপনার কাছে যেটুকু সোনা আছে আপনি সেটুকুই আমাকে দেন। সোনার হরিৎ পেছেছে মনে করে কাজল রেখা তার হাতে থাকা দেড় ভরি ওজনের দুটি বালা, সাড়ে তিন আনা ওজনের একটি আংটি , চার আনা ওজনের সোনার একজোড়া কানের দুল সহ সর্বমোট ১ ভরি সাড়ে ১২ আনা সোনা ওই রিকশা চালককে দিয়ে দেয়। প্রায় একলাখ ২৫ হাজার টাকার সোনার গহনা পেয়ে রিকশাচালক ও তার সেই সহযোগি রিকসা ফেলে দ্রুত চম্পট দেয়। রেখাও দ্রুতভাবে কুড়িয়ে পাওয়া সোনার বার নিয়ে বড় বাজারের একটা দোকানে হাজির হন। এরপর রেখার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তিনি জানতে পারেন ওটা সোনার বার নয় এমিটেশনের বার। তাৎক্ষনিক সারা যশোর শহর তন্নতন্ন করে খুঁজেও সেই রিকশাওয়ালা কে আর পায়না কাজল রেখা। শেষ মেষ উঠে কোতোয়ালি খানার বারান্দায়। ভরাক্রান্ত মনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে সবশেষে কাজলরেখে ফিরে যান স্বামী বেনাপোলের নামাজগ্রাম এলাকার ডাক্তার মঈন উদ্দিনের কাছে।
আবিদ হাসান